Ticker

6/recent/ticker-posts

best bangla romantic love story |কষ্টের ভালোবাসার কথা | social bangla sad love story 2020

best bangla romantic love story |কষ্টের ভালোবাসার কথা | social bangla sad love story 2020



শেষ চিঠি



bangla romantic love story
bangla romantic love story

ভালোবাসার কথা bangla romantic love story bangla sad love story  

(পুরোটা না পড়লে মেইন কাহিনি্টা বুঝতে পারবেন না)

ছেলেটির নাম তূর্য।দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি সিলেট যাচ্ছে । সিলেটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায় তাই সপ্তমী রাতটা সিলেট শহরেই থাকবে।অষ্টমির সকালে বাড়ীতে যাবে। রাতে সিলেট শহরে পূজা দেখবে। তো সিলেট শহরে পৌছার পর একটূ রেস্ট নিয়ে পূজা দেখতে বের হয় তূর্য তার ভাইয়ের সাথে। বেশ কয়েকটা পূজা মন্ডপ দেখার পর হঠাত একটা মেয়েকে দেখে ভালো লেগে যায় তূর্য'র। কিন্তু খুব একটা গুরুত্ত্ব দেয়না। কিন্তু পরের প্রত্যেকটা মন্দিরে কাকতালীয়ভাবে হলেও দেখা হয় ওই মেয়েটির সাথে। ওই মেয়েটিও তাকাচ্ছিলbangla romantic love story দুইজনেই একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিল কিন্তু ঐপর্যন্তই।পরে আর দেখা হয়নি কারণ পরেরদিন সকালে তূর্যকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হয়। কিন্তু কেন যেন বারবার মনে পড়েছিল ওই মেয়ের কথা। প্রায় প্রতিদিনই মনে পড়তো ওই মেয়ের কথা। এইভাবে কয়েকমাস চলে যায় কিন্তু সেই মেয়েটির কথা কেন যেন মাঝে মাঝেই মনে হয়। মন থেকে যতই ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে ততই মনে হতে থাকে ওই মেয়েটির কথা। পরের বছর  আবার পূজো চলে আসলো। এর মাঝে তূর্য অনেকবার সিলেট গিয়েছে। কিন্তু কখনোই দেখা মেলেনি মেয়েটির। এই বছরও পূজোর সপ্তমীর রাতটা সিলেট শহরেই থাকবে তূর্য। আগের সেই ভাইয়ের সাথেই পূজো দেখতে বের হলো। আবার সেই মেয়েটির সাথে দেখা। আর তূর্য এর মনে হল সে মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেছে। কিন্তু বলবে কি ভাবে এটাই ভেবে ঠিক করতে পারল না কারণ মেয়েটির সাথে সবসময় তার মা ছিল। বলার সুযোগ খোঁজার জন্য সে মেয়েটির পিছে পিছে ঘুরল যতক্ষণ মেয়েটি এক মন্দির থেকে অন্য মন্দিরে যায়। আর তূর্য তার ভাইকে মেয়েটিকে দেখিয়ে বলল সে চিনে কিনা।bangla sad love story তার ভাই বলল এই মেয়েকে অনেক বারই স্কুলে যেতে দেখেছে কিন্তু সাথে সবসময় মা থাকে। যাইহোক এক পর্যায়ে তূর্য মেয়েটিকে আবারো হারিয়ে ফেলে। মনে মনে আফসোস করতে থাকে এক বছর ধরে যাকে মনে রেখেছে তাকে আবারো দেখতে পেয়ে কিছু বলতে না পারার জন্য। পরের দিন সকালে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও সে মেয়েটির সাথে যদি আর একটিবার দেখা হয় এই আশায় সেইদিনও থেকে যায় সিলেট শহরে। কিন্তু বিধি বাম। আর দেখা হলোনা মেয়েটির সাথে। তাই হতাশ হয়েই গ্রামে যেতে হল। কিন্তু তার ভাইকে বলে রাখল মেয়েটির সাথে দেখা হলে যেন খোজ নেয়। যাইহোক পূজা শেষে তূর্যকে আবারো ঢাকা চলে যেতে হলো।ভালোবাসার কথা কিন্তু তূর্য'র প্রতিদিনই মেয়েটির কথা খুব মনে পড়তে লাগলো আর প্রায় কয়েকদিন পর পর তূর্য মেয়েটির ব্যাপারে কোনো খোঁজ পেল কিনা জানার জন্য তার ভাইয়ের কাছে ফোন দিত। কিন্তু সেও কিছু বলতে পারেনা। এরপর হঠাত কালিপূজার দিন রাতে তূর্য'র ভাই তূর্য কে ফোন দিয়ে বলে তূর্য মেয়েটির সাথে দেখা হয়েছিল। তূর্য তো মহা খুশি।তাপর তূর্য বল্ল কি কি জেনেছো মেয়েটির ব্যাপারে। কিন্ত ওর ভাই বলল শুধু দেখা হয়েছে দূর থেকে কথা বলতে পারিনি সাথে মা ছিল। তূর্য'র মন খারাপ হয়ে গেল। তূর্য আবার একটু মনে আশা নিয়ে জিজ্ঞেস করল বাড়ি কোনটা দেখেছো? ওর ভাই বলল না। তবে একটা ছবি তুলতে পেরেছি। আর ছবি তোলার সময় মেয়েটির মা দেখে ফেলছিল না হলে হয়তো বাড়ির খোজটা নিতে পারতাম।
সত্য ভালোবাসার গল্প তূর্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই। তুমি আমাকে ছবিটা মেইল করে দাও।
ভাইঃ ওকে। জাস্ট এ মিনিট।

আরো পড়ুনঃ
*অসমাপ্ত ভালোবাসা (রোমান্টিক প্রেমকাহীনি)

কিছুক্ষণ পর তূর্য মেইল চেক করে সেই মেয়েটির একটা ছবি পেল। যদিও ছবিটি আবছা ছিল অনেকটা কিন্তু তূর্য'র কাছে এটাই অনেক কারণ অনেকদিন পর মেয়েটির একটি ছবি দেখল। তবে একটা আফসোছ থেকেই গেল কিছু জানতে না পারার। কিন্তু তূর্য আশা ছাড়ল না। সে মনে মনে ঠিক করেই নিয়েছিল সে যেভাবেই হোক তার ভালোবাসাকে সে খুঁজে বের করেই ছাড়বে। পরে হঠাত তার মাথায় বুদ্ধি এলো। সে ফেসবুকে মেয়েটিকে খোজার জন্য সিলেটের যত ক্রাশ এন্ড কনফেশন্স গ্রুপ সবগুলোর লিস্ট করে প্রত্যেকটাই একটা করে পোস্ট দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলো একের পর এক কমেন্ট লাইক কিন্তু যার জন্য পোস্ট করা তার খবর নাই। এইভাবে প্রায় প্রত্যেকটা পেজে ৫-৬ বার করে পোস্ট করল কিন্তু তাকে খুজে পেল না। প্রেমের সেরা গল্প এরপর তূর্য তার পরিচিত সিলেট শহরের প্রত্যেককেই মেয়েটির পিক দেখাল কিন্তু কেউ বলতে পারলো না মেয়েটির কথা। তূর্য অপেক্ষা করতে থাকে এটা ভেবে যে একদিন সে মেয়েটির সন্ধান পাবেই তার ভালোবাসার জোরে। এইভাবে প্রায় আরো ছয় মাস কেটে গেল। 


ভালোবাসার কথা
ভালোবাসার কথা


একদিন তূর্য ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিল হঠাত করে রাস্তার ওপর পাশে তূর্য'র চোখ পড়ল। আর সাথে সাথেই তূর্য কিছুটা হতবাক হয়ে গেল। কারণ তূর্য দেখল সেই মেয়েটি ফুটপাত দিয়ে হাটছে। তূর্য মনে মনে অনেক খুশি হল। সে দ্রুত মেয়েটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাস্তায় হঠাত তূর্য এর সামনে একটি বাস এসে দাড়ালো। তূর্য বাস ক্রস করে ওইপারে গেল ঠিক কিন্তু মেয়েটিকে আর পেল না। তূর্য আগে কখোনো অনুষ্ঠান ছাড়া মন্দিরের চৌকাঠ মাড়াতো না কিন্তু এখন সে প্রতিদিন মন্দিরে যায় আর মন্দিরে মনাত করে যেন সে মেয়েটির সাথে কথা বলতে পারে তাকে আর একবার দেখতে পায়। এরপর হঠাত করেই আরেকদিন মেয়েটিকে দেখল তূর্য এইবার আর সে হারাতে চায় না। তাই তূর্য মেয়েটির পিছু করা শুরু করল। এক পর্যায়ে মেয়েটির বাসার ঠিকানা পেয়ে গেল। এরপর থেকে প্রতিদিন মেয়েটির বাসার সামনে তূর্য ফাঁকা সময় পেলেই গিয়ে বসে থাকতো যদি একবার দেখা হয় এই আশায়। প্রতিদিন দেখাও হত মেয়েটির সাথে কিন্তু কথা বলার সাহস হতোনা। এরপর তূর্য আরো অবাক হয় যখন দেখে মেয়েটি তার কলেজেই ১ম বর্ষে ভর্তি হয়েছে। আর থাকেও যেহেতু একই এলাকায় তাই তূর্য আরো খুশি এটা ভেবে যে একই বাসা যাওয়া আসা করতে হবে তার মানে মেয়েটির সাথে কথা বলার একটা সুযোগ। পরের দিন কলেজে যাওয়ার পথে সেই মেয়েটী তূর্য এর পাশের সিটে বসল। তূর্য তো মহা খুশি।তূর্য এর বুকের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। যেন বুক থেকে হার্ট বের হয়ে আসবে। সে মনে মনে ঠিক করল আজকে কথা বলবেই যেইভাবেই হোক। কিন্তু বার বার বলতে গিয়েও পারছিলনা।

আরো পড়ুনঃ

*অসমাপ্ত ভালোবাসা (রোমান্টিক প্রেমকাহীনি)


bangla sad love story
bangla sad love story


হঠাত মেয়েটি বলল আপনি আমাদের কলেজেই ২য় বর্ষে পড়েন? তূর্য নিজেকে একটু ঠিক করে নিয়ে স্মার্টলি বলল হ্যা। কষ্টের গল্প আপনি তো ১ম বর্ষের? মেয়েটি বলল হ্যাঁ। তারপর মেয়েটি বলল আপনার আর আমার বাসা তো একই এলাকায় আমরা তো ইচ্ছে করলে এক সাথেই যেতে পারি।

তূর্যঃ হ্যা যেতেই পারি।
মেয়েটিঃ আমি তো ঢাকায় নতুন কিছু চিনিনা একা একা যাওয়া আসা করতে একটু বোরিং আর ভয়ও লাগে।
তূর্যঃ আচ্ছা আমি যাওয়ার সময় আপনার জন্য অপেক্ষা করব। কিন্তু আপনার ভয় লাগে কিসের?
মেয়েটিঃ রাস্তায় এত গাড়ি চলে আমি তো ঠিক মতো রাস্তায় পার হতে পারিনা। যাইহোক আপনার নাম কি? নামটাই তো বললেন না যদি খুজে না পায় তাহলে কাউকে জিজ্ঞেস ও তো করতে পারবোনা।
তূর্যঃ  আমি তূর্য। সেকশন সি।
মেয়েটিঃ আমি প্রেমা। সেকশান ই
তূর্যঃ এইবার আর খুঁজে পেতে কোনো অসুবিধা হবেনা।
তূর্য মনে মনে তো খুশিতে আত্মহারা। কিন্তু তাতে কি!! মেয়েটিকে তো আর তার দুর্বলতা বুঝতে দিলে হবে না নাকি?
এরপর তূর্য বলে আপনার বাড়ি বোধয় সিলেটে।
প্রেমাঃ হ্যা  । কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন?
তূর্যঃ আমি আপনাকে সিলেটে দুর্গা পূজায় দেখেছিলাম।
প্রেমাঃ আপনিও সিলেটের?
তূর্যঃ হ্যা। রোমান্টিক কষ্টের গল্প
প্রেমাঃ বাহ তাহলে তো বেশ ভালোই হল।


ট্যাগঃ bangla romantic love story,bangla sad love story,সত্য ভালোবাসার গল্প,প্রেমের সেরা গল্প,কষ্টের গল্প,রোমান্টিক কষ্টের গল্প,ভালোবাসার কথা



এরই মাঝে ওরা ওদের কলেজে চলে আসলো।আর যে যার ক্লসে গেল। ক্লাস শেষ হলে আবার একসাথে বাড়িতে। এইভাবে তাদের মধ্যে একটা গভীর বন্ধুত্ত্ব হয়ে গেল। বলা যায় বেস্ট ফ্রেন্ড বা তার থেকেও বেশি। আসলে প্রেমাও তূর্য কে পছন্দ করত কিন্তু আবার ভাবতো কি যা তা ভাবছি বলে উড়িয়ে দিত মাথা থেকে। কিন্তু তূর্য তো প্রেমাকে ভালোবাসে। কিন্তু সে এখনো বলতে পারেনি সেই কথা। কারণ এখন তার ভয় হয় যদি প্রেমা তাকে ভুল বুঝে। আর এমনিতেও তূর্য প্রেমাকে এতটা ভালোবাসতো যে প্রেমা যদি কিছু চাইতো কখনো নিজের শত চেষ্টা করে হলেও সেটা তাকে দিত। একটা উদাহরণ দিলে একটু বুঝতে পারবেন। একবার প্রেমা একটা নীল শাড়ি পছন্দ করেছিল কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেনি। তূর্য সেটা লক্ষ্য করেছিল আর পরে সেটা কিনেও দিয়েছিল প্রেমা কে খুশি করার জন্য। সেইদিন প্রেমা সত্যিই অনেক খুশি হয়েছিল। কিন্তু তূর্যকে এটা কেনার জন্য ১০ দিনের মিল একবেলার জন্য অফ রাখতে হয়েছিল। আর যা জমানো টাকা ছিল দিয়ে দিতে হয়েছিল।এইরকম হাজারো উদাহরণ দেওয়া যাবে। কিন্তু যাইহোক তূর্য আর না বলেও থাকতে পারছিল না।  তূর্য ঠিক করে দুই একদিনের মধ্য যেভাবেই হোক বলবে প্রেমাকে মনের কথা। কিন্তু সে কিভাবে বলবে বুঝতে পারছিলনা। সে মনে মনে ঠিক করে চিঠি লিখে সে প্রেমাকে তার মনের কথা জানাবে। ওরা শুক্রবারে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যেত। তাই ঠিক সামনের শুক্রবারে প্রেমার সাথে ঘুরতে গিয়ে তূর্য প্রেমাকে চিঠিটা দিবে। তূর্য আর প্রেমা একসাথে হাঁটছিল প্রেমা তূর্য কে বলে যা ঝাল মুড়ি নিয়ে আয় তূর্য যায় ঝাল মুড়ি আনতে কিন্তু অর পার্স টা পকেট থেকে পড়ে যায় আর সেটা প্রেমা দেখতে পেয়ে দুষ্টুমি করে পার্সটা প্রেমা ওর নিজের পার্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আর তূর্য সেই চিঠিটা প্রেমার পার্সের মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু প্রেমাও সেটা বুঝতে পারেনা। হঠাত করেই প্রেমার ফোন আসে। bangla romantic love story কথা বলা শেষ হতে না হতেই তূর্য কে বলে তূর্য তোর ঝাল মুড়ি কিনতে হবেনা। আমার এখনি বাড়ি যেতে হবে বাবা ফোন দিয়েছিল। বলে এই যে তোর পার্স পড়ে গেছিল। বলে কোনোরকমে পার্স্টা দিয়ে প্রেমা বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেল। তূর্য আজও বলতে পারলনা মনের কথা। কিন্তু তূর্য ঠিক করে যেভাবেই হোক বলবেই। অবশেষে পরেরদিন স্কুল থেকে ফিরার পর তূর্য প্রেমাকে উদ্দেশ্য করে বলে আচ্ছা আমি তোকে একটা কথা বলব। প্রেমাও বলল আমিও তোকে একটা কথা বলব ভাবছি। কিন্তু এখানে না। চল বিকালে দেখা করি। তূর্য বলল আচ্ছা ঠিক আছে। দুইজনে বিকালে দেখা করল। প্রেমা আজকে নীল শাড়ি পরে এসেছে। চোখে কাজল দিয়েছে, আর কপালে একটা লাল টিপ। আর তূর্যও এসেছে পানজাবী পরে। দুইজনে দেখা হোওয়ার পর

আরো পড়ুনঃ

*অসমাপ্ত ভালোবাসা (রোমান্টিক প্রেমকাহীনি)

প্রেমাঃ কি যেন বলবি?
তূর্যঃ তুই আগে বল। bangla sad love story
প্রেমাঃ না তুই আগে বলবি বলেছিলি।
তূর্যঃ লেডিস ফার্স্ট।
প্রেমাঃ ওকে ঠিকাছে আমিই বলছি।
তূর্যঃ হ্যা বল
প্রেমা ব্যাগ থেকে ফোন বের করে একটা ছেলের ছবি দেখিয়ে বলল ছেলেটা কেমন বলতো? আমি এই ছেলেকে অনেক ভালোবেসি। কিন্তু কিছুতেই না বলতে পারিনা তুই আমাকে হেল্প করবি?
তূর্য 'র মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তূর্য কিছু বলতে পারলনা। তূর্য বলল আমি একটু আসছি। বলে গেল তো গেলই প্রেমা অপেক্ষা করছে তো করছেই। ফোনও সুইচড অফ বলছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। অবশেষে প্রেমা বাসায় চলে গেল। কিন্তু তূর্য'র আর কোনো খবর পেলনা। ওর বন্ধুদের ফোন দিয়েও কোনো খবর পেল না প্রেমা। পাবেই বা কি করে তূর্য তো সিলেটে চলে গেছে কাউকে কিছু না জানিয়।তারপর তূর্য সেই ভাইয়ের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে। আর তূর্য খাওয়া দাওয়া সব ছেড়ে দিয়েছে প্রায়। তূর্য'র ভাই তূর্য কে কিছু না বলে প্রেমার কাছে ফোন দেয়। দিয়ে সব খুলে বলে । সেই সপ্তমী থেকে শুরু করে আজকের সব কথা। প্রেমা তূর্য'র ভাইকে বলে আপনি কোনভাবে ওকে আমার সাথে দেখা করিয়ে দিন আমি ওকে বুঝিয়ে বলব, কিন্তু আগে কিছু বলবেন না যে আমি আসতে বলেছি তাহলে হয়তো আসবেনা। তূর্য'র ভাই প্ল্যান অনুযায়ী ঢাকায় নিয়ে যায় তূর্য কে। তূর্য'র সাথে প্রেমা দেখা করতে চায় প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়। দুইজন এখন রাস্তার দুইপাশে। প্রেমা আজকে তূর্য'র কিনে দেওয়া সেই নীল শাড়ি পরে এসেচজে। সে রাস্তা পার হয়ে এইপাশে আসছিল কিন্তু হঠাত একটা বাস প্রেমাকে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথেই প্রেমার রক্তে লাল হয়ে যায় রাস্তা। তূর্য দৌড়ে যায় প্রেমার কাছে, গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে প্রেমার লুটিয়ে পড়া মাথা নিজের কোলের ওপর নেয়। প্রেমা অনেক কষ্টে তূর্য কে বলে "তূর্য আমি তোকেই ভালললললঅঅঅ............." নিশ্চুপ হয়ে যায় প্রেমা। প্রেমার হাতে তূর্য একটা চিঠি দেখতে পায় আর সাথে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল। চিঠিটি খুলে পড়তে শুরু করে তূর্য।

প্রেমের সেরা গল্প
প্রেমের সেরা গল্প


ভালোবাসার কথা প্রিয় তূর্য,
তুই জানিস না আমি তোকে কতটা ভালোবাসি। কিন্তূ তুই একটা গাধা কিচ্ছু বুঝিস না। কি ভেবেছিলি আমি তোকে পূজোয় দেখিনি? তোকে প্রথম দেখাতেই তোর প্রেমে পড়ে গেছি।আমিও একটা বার সুযোগ খুজছিলাম তোকে যদি একবার দেখতে পেতাম কোথাও। যদি একবার খুঁজে পেতাম। তুই জানিস আমি স্কুলে যাওয়ার পথে মন্দিরের পাশে গেলেই ঠাকুরের কাছে বলতাম একবার যেন তোর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।আর ঢাকায় আসার পর তোকে প্রথম দেখি আমাদের বাসার সামনে চায়ের টং টাতে। তোকে বলে বোঝাতে পারবোনা সেইদিন আমি কত খুশি ছিলাম। তুই যখন আমাদের কথা হওয়ার আগে আমাদের বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসে থাকতিস আমি রোজ তোর সাথে কথা বলার চেষ্টা করতাম কিন্তু সাহস পায়নি। আর তুই যতক্ষণ বসে থাকতি আমি জানালা দিয়ে তোকে দেখতাম। আর তুই কি ভেবেছিলি আমি তোকে না চিনেই বলেছিলাম একসাথে কলেজে যাওয়ার কথা।আর তুই যেই চিঠিটা লিখেছিলি সেটা পাওয়ার পরেই তো কনফার্ম হয় তুইও আমাকে ভালোবাসিস। না হলে হয়তো আজো কথাগুলো লিখার সাহস পেতামনা তোর সাথে কথা বলা বন্ধ হওয়ার ভয়ে। কিন্তু তুই তো বলতে পারতি একবার। আর এর আগে অনেকবার তোকে বলব ভেবেও বলতে পারিনি কারণ তুই যদি আমার এই কথা শুনে আমার সাথে কথা না বলিস এই ভয়ে। আর সেইদিন তো পুরো কথা শুনলিই না আগেই চলে গেলি। আর যাওয়ার পর সব বন্ধ করে রেখেছিস। আমি তোকে সেইদিনই আমার মনের কথা বলতাম কিন্তু তার আগে একটু তোর রিয়্যাকশান দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই চলে যাবি এটা ভাবিনি। যাই হোক শোন আমি যেদিন তোকে প্রথম মন্দিরে দেখেছিলাম সেইদিনই তোর প্রেমে পড়ে গেছি। আর আজ তোকে বলছি তোকে ছাড়া আমি বাচঁবো না। আমি তোকে আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি। তুই কি আমাকে তোকে ভালোবাসার অধিকার দিবি?
    ইতি       
 তোর প্রেমা

ভালোবাসার গল্প


আরো পড়ুনঃ

*অসমাপ্ত ভালোবাসা (রোমান্টিক প্রেমকাহীনি)

চিঠি পড়ার পর তূর্য চুপ হয়ে যায়। আর কিছু বলতে পারেনা। এইদিকে প্রেমার রক্তে রাস্তা লাল হয়ে গেছে। তূর্য কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হাহা করে করে হাসতে থাকে।তার পর তূর্য মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। এখন সে সবসময় শুধু একটা কথায় বলে "কেন সেদিন চলে গেলাম কেন সেদিন চলে গেলাম" আর সাথে কখনো হাসে তো কখনো কাঁদে।

Post a Comment

0 Comments

Search